বেতাগীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ: সংবাদ সম্মেলনে শিরীন সুলতানা
নিজস্ব প্রতিবেদন
বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাটি গ্রামে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেই নিজের বসতঘর ভাঙচুর করেছেন খলিলুর রহমান খন্দকার—এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিরীন সুলতানা। এ বিষয়ে তিনি আজ বুধবার দুপুর বারোটায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বেতাগী উপজেলা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিরীন সুলতানা বলেন, আমি একজন স্কুল শিক্ষিকা। আমার বাবার জমিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তা পরিচালনা করে আসছি। জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরু হলে এলাকার কিছু কুচক্রী মহল ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা স্কুলটি বন্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার চাচা ও মামাতো ভাইয়ের নেতৃত্বে একটি চক্র আমাকে ও আমার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসছে। আমাদের বসতঘর থেকে উচ্ছেদ করতে একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। এক রাতে তারা আমাদের ঘরে ঢুকে আমার ছোট বোন ঝুমুর ও ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধর করে। আমি তখন হাসপাতালে ছিলাম। ফিরে এসে দেখি ঘর বিধ্বস্ত। প্রতিবাদ করতে গেলে আবার হুমকি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার ১০-১৫ দিন পর আবারও খলিল, মাইনুল, আসরাফ আলী, সোহেল, সজীব, রবিউলসহ ২০-২৫ জনের একটি দল এসে ঘরে ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তার মা-বাবাকে মারধর করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়।
তিনি জানান, বেতাগী থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও তাৎক্ষণিক মামলা নেওয়া হয়নি। পরে আদালতের মাধ্যমে মামলা করলে ফের হামলা চালানো হয়। সর্বশেষ হামলায় তার পরিবারের কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তার কান ফেটে যায় এবং পরিবারের সদস্যদের বরিশাল ও বেতাগী হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
What's Your Reaction?
Like
0
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0
